তাঁকে মক্কার শ্রেষ্ঠ সুফি-সাধক মনে করা হতো। ইমাম তকিউদ্দিন ফাসি মক্কি (রহ.) তাঁর সম্পর্কে বলেন, তিনি মক্কার সুফিদের মধ্যে সবচেয়ে অগ্রগামী ছিলেন। (আল-ইকদুস সামিন : ৮/১৯২)
তবে ভাইয়ের মতো তিনিও অন্য সুফিদের তুলনায় ব্যতিক্রম ছিলেন। কেননা সাধারণত সুফি-সাধকরা নির্ধারিত সময়ের পর কোরআন-হাদিসসহ শরিয়তের জ্ঞানচর্চা থেকে সরে যায়। কিন্তু তাজুন নিসা (রহ.) মৃত্যু পর্যন্ত কোরআন-হাদিস ও ইলমে তাসাউফের সমান্তরাল চর্চা অব্যাহত রাখেন।
আল্লামা সালাউদ্দিন সাফাদি (রহ.) বলেন, ‘তিনি ছিলেন পবিত্র হেরেমের শায়খাহ (হাদিসের শিক্ষিকা)। তিনি বিরল প্রতিভার অধিকারী ও আল্লাহসাধক ইবাদতকারী ছিলেন। তিনি দীর্ঘ জীবন লাভ করেন এবং আল্লাহর ভালোবাসায় কুমারিত্বকে বেছে নেন।’ (আল ওয়াফি বিল-ওয়াফায়াত : ১০/৩৬৫)
বরেণ্য এই নারী মনীষী পবিত্র ৬১১ হিজরিতে পবিত্র মক্কা নগরীতে ইন্তেকাল করেন এবং সেখানেই তাঁকে দাফন করা হয়। বাগদাদের প্রসিদ্ধ মুহাদ্দিস ও হাদিসবিশারদ মুহিবুদ্দিন ইবনুন নাজ্জার (রহ.) ও ফকিহ হাফেজ ওমর বিন আবদুল মজিদ আল আজদি (রহ.) তাঁর ছাত্রদের মধ্যে সবচেয়ে প্রসিদ্ধ। (মাউসুয়াতু রুয়াতুল হাদিস)
মহান আল্লাহ তাঁর কবরকে শীতল করুন। আমীন আমিন।
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.